রেজি : ডিএ ৫১৭ ॥ ৬৩ বর্ষ : ৪র্থ সংখ্যা ॥ ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ ॥ ৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী ॥ ১৯ এপ্রিল ২০২৪

অস্তিত্ব সংকটে চলনবিল

নাটোর সংবাদদাতা : চলনবিলে প্রাকৃতিক পরিবেশের ভয়াবহ বিপর্যয় ঘটেছে। পানিশূন্য হয়ে মরে গেছে বেশিরভাগ নদনদী, খাল-বিল। বিলীন হচ্ছে বিলাঞ্চলের অস্তিত্ব।
ভরা বর্ষায় চলনবিলের বিস্তীর্ণ নদী-খাল কিংবা বিলে পালতোলা নৌকায় গাঁয়ের বধূর বাপের বাড়ি যাওয়ার চিত্র এখন বিরল। স্বচ্ছ জলরাশির স্রোতে রূপালি ঝলকে খসল্লা-কাকিলা আর টেংরা-পুঁটির ছুটে চলার দৃশ্যও আর চোখে পড়ে না। আকাশে দেখা যায় না উড়ে চলা সাদা পালকের বকপাখির ঝাঁক। বিল প্রায় পানিশূন্য। দেখা মেলে না পানকৌড়ি আর মাছরাঙার।  দোয়েল, কোয়েল, চড়ুই ও শালিকের দেখা মেলাও ভার। সংকুচিত হয়েছে চলনবিলের বিস্তীর্ণ মাঠে সবুজ সমুদ্রের ঢেউ। এমনই করুণ অবস্থায় অস্তিত্ব বিলীন হতে বসেছে উত্তরবঙ্গের শস্য ও মৎস্যভাণ্ডার চলনবিলের।
অপরিকল্পিত রাস্তাঘাট ও বাঁধ নির্মাণ, অবাধ পুকুর খনন, স্থাপনা নির্মাণ করে খাল-বিল-নদীর পানিপ্রবাহের পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির মাধ্যমেই ধ্বংস হতে বসেছে দেশের সর্ববৃহৎ জলময় ভূভাগ চলনবিল। কয়েক দশকে চলনবিলে প্রাকৃতিক পরিবেশের ভয়াবহ বিপর্যয় ঘটেছে। পানিশূন্য হয়ে মরে গেছে বেশিরভাগ নদী ও খাল। নানা প্রতিকূলতায় বিলুপ্ত হয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির দেশীয় মাছ, পাখিসহ কয়েক ধরনের প্রাণী। একসময় মৎস্য, শস্য ও প্রাকৃতিক রত্নভাণ্ডার হিসেবে খ্যাত চলনবিল বিভিন্ন ঋতুতে বিভিন্ন রূপে সজ্জিত হতো। গ্রীষ্মে দিগন্তজুড়ে সোনালি ধানের মাঠ। বর্ষায় সূর্যকিরণের প্রতিফলনে ঝিলমিলিয়ে উঠত বিস্তীর্ণ জলাভূমি। শরৎ ও হেমন্তে কৃষকের ডিঙি নাও ভরে ওঠে ছোট-বড় দেশীয় মাছে। শীতকালে ....বিস্তারিত

সংগঠন সংবাদ

চন্দ্রগঞ্জ উপজেলা (লক্ষ্মীপুর) : বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম বলেছেন, অধিকারহারা জনতার আর্তনাদে ঈদ অর্থবহ হয়নি। তিনি গত ১৫ এপ্রিল সোমবার লক্ষ্মীপুরের স্থানীয় একটি মিলনায়তনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী লক্ষ্মীপুর জেলার চন্দ্রগঞ্জ উপজেলার চরশাহী ইউনিয়ন জামায়াত আয়োজিত ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান  অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
ইউনিয়ন আমীর আবু বকর সিদ্দীকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা মাসুম বিল্লাহ, উপজেলা আমীর এমএস মোল্লা ও বিশিষ্ট আলেমে দ্বীন নাজমুল ইসলাম শামীম। আরো বক্তব্য রাখেন উপজেলা সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা ইকবাল হুসাইন, ছাত্রশিবির নেতৃবৃন্দ, ঢাকাস্থ লক্ষ্মীপুর ফোরাম নেতৃবৃন্দ, স্থানীয় প্রবাসীগণ এবং গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। এছাড়া ৯নং উত্তর জয়পুর দত্তপাড়া, মান্দারী, চন্দ্রগঞ্জ, দিঘলি, কূশাখালী, হাজিরপাড়া  ইউনিয়নে ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়। ড. রেজাউল করিম গ্রামে ঈদের নামায আদায় ও বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।
জলঢাকা (নীলফামারী জেলা) : বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম বলেন, মাহে রমযান আমাদের গুনাহ বর্জন করে জীবনকে সুন্দর ও পরিমার্জিত করার যে বার্তা নিয়ে এসেছিল, তার আলোকে আমাদের জীবনে অগ্রগতি কতটুকু অর্জিত হয়েছে, তা পর্যালোচনা করে সামনের দিনগুলোয় আল্লাহর দীনের পথে মজবুত ....বিস্তারিত

কুড়িগ্রামের চরাঞ্চলে চিনা চাষ

আমানুর রহমান খোকন, কুড়িগ্রাম : কুড়িগ্রামের চরাঞ্চলে চিনা চাষ করে ব্যাপক সাফল্য পাচ্ছে কৃষকরা। পাখির প্রসিদ্ধ খাবার চিনার কদর বেড়েছে জেলাজুড়ে। উৎসহ বারাতে পারলে চিনা চাষে কৃষকের আগ্রহ বৃদ্ধি পাবে সেই সাথে দেশ অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ হবে।
জানা গেছে, পাখির অন্যতম প্রসিদ্ধ খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত চিনার চাষ কুড়িগ্রামে করা হচ্ছে। জেলার ২৮৫টি চর ও দ্বীপ চরে চিনার চাষ অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। অনেক কম খরচে সহজ পদ্ধতিতে চাষের মাধ্যমে অধিক লাভবান হওয়ায় কৃষকদের চিনা চাষের আন্তরিকতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ সূত্রে জানা যায়, এবার জেলার ৩৯০ হেক্টর জমিতে চিনা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। এর মধ্যে কুড়িগ্রামের চরাঞ্চলের ৩০৫ হেক্টর জমিতে চিনার চাষ করা হয়। লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হলেও আশানুরূপ ফলনে কৃষকের মুখে হাসি ফুটে উঠেছে। চর যাত্রাপুরের কৃষক এরশাদুল হক বলেন, আমি চরে চিনার চাষাবাদ করে অনেক লাভবান হয়েছি। এবার ফলনও ভালো, দামও ভালো পাবো বলে আশা করছি।
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা কৃষি অফিসার নাহিদা আফরিন বলেন, বালিচরে চিনার চাষ খুবই সহজলভ্য। বীজ রোপণ করে ক্ষেতের সামান্য পরিচর্যা নিলেই অনেক ভালো ফলন পাওয়া যায়। পাখির খাদ্য ছাড়াও এ ফসলটি আরো অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ কাজে ব্যবহার হয়ে থাকে। দেশের বাইরে এ ফসলের চাহিদা রয়েছে। কুড়িগ্রাম নদীমাতৃক জেলা হওয়ায় এ জেলার চরাঞ্চলে চিনার চাষ বাড়াতে পারলে কৃষকেরা অনেক লাভবান হবে সেই সাথে অর্থনৈতিকভাবে দেশ সমৃদ্ধ ....বিস্তারিত

ন্যায়-ইনসাফের সমাজ প্রতিষ্ঠায় ঘরে ঘরে ইসলামের দাওয়াত পৌঁছে দিতে হবে --ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের

খুলনা সংবাদদাতা : বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর ও সাবেক এমপি ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেছেন, পবিত্র মাহে রমযানের প্রকৃত শিক্ষা হচ্ছে তাকওয়া অর্জন। আর এ তাকওয়া অর্জনের মাধ্যম হলো ঈমান ও ইহতিসাব, যা আমাদের নিষ্পাপ ও মুখলিস হতে সহায়তা করে। আমরা তাকওয়ার মাধ্যমে জান্নাত লাভ করতে পারি।
তাই রমযানের প্রকৃত শিক্ষাকে কাজে লাগিয়ে আমাদের আগামী দিনের করণীয় নির্ধারণ করতে হবে। তিনি ন্যায়-ইনসাফের সমাজ প্রতিষ্ঠায় সকলকে প্রজ্ঞা, যোগ্যতা ও বুদ্ধিমত্তার সাথে ইসলামের দাওয়াত খুলনা মহানগরীর প্রতিটি পাড়া-মহল্লায় মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে হবে। গত ১৩ এপ্রিল শনিবার নগরীর একটি মিলনায়তনে খুলনা মহানগরী জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও খুলনা মহানগরী আমীর অধ্যাপক মাহফুজুর রহমানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারি খুলনা অঞ্চল পরিচালক মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক।
কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও মহানগরী সেক্রেটারি এডভোকেট শেখ জাহাঙ্গীর হুসাইন হেলালের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় অফিস সেক্রেটারি মো. নুরুল ইসলাম সাদ্দাম, কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদ সদস্য ও খুলনা মহানগরী সভাপতি মো. তৌহিদুর রহমান। উপস্থিত ছিলেন খুলনা মহানগরী নায়েবে আমীর অধ্যাপক ....বিস্তারিত

ইসলামী আন্দোলনের কাজকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে হবে --রফিকুল ইসলাম খান

রাজশাহী সংবাদদাতা : জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল সদ্য কারামুক্ত মজলুম জননেতা মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেছেন, ইসলামী আন্দোলনের নেতাকর্মীদের দীন প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে সামান্যতম কোনো দ্বিধাদ্বন্দ্ব-সংশয় থাকার কোনো সুযোগ নেই। জীবনে দুনিয়ায় সকল কাজের ক্ষেত্রে ইসলামী আন্দোলনের কাজকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে হবে। ইসলামী আন্দোলনে আব্দুল্লাহ ইবনে উবায়ের মতো মুনাফেকি চরিত্র থাকলে পরকালে জান্নাত লাভের কোনো সুযোগ নেই। একজন মুসলমানের দায়িত্ব হলো মহান আল্লাহকে ভয় করে চলা। দুনিয়ায় কোনো শক্তিকে একজন মুমিন কখনো ভয় করতে পারে না। রমযানের যে মূল শিক্ষা সেটা হলো তাকওয়া বা আল্লাহভীতি অর্জন। ইসলামী আন্দোলনের নেতৃত্বকে পূর্ণ আনুগত্য করতে হবে, আল্লাহ যে সম্পদ দিয়েছেন তা থেকে তার রাস্তায় খরচ করতে হবে এবং ঈমানের ব্যাপারে ও দীন প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে কোনো দ্বিধা, সন্দেহ-সংশয় থাকা যাবে না। এ সকল ব্যক্তিই পরকালে সফলতা লাভ করবে। একজন ব্যক্তি ঈমান আনলে রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর যে কাজ, তারও সেই কাজ। তিনি মহান আল্লাহ তায়ালা দীনের পথে দাওয়াত দিতে গিয়ে নবী রাসূলগণের বিপক্ষে বাধাদানের বিষয় উল্লেখ করে বলেন, বাতিল শক্তি ইসলামের দুশমনরা দীনি হককে পরাজিত করতে চায়। আল্লাহ নবী-রাসূল এ জন্য পাঠিয়েছেন তারা জাহান্নামের ভয় ও জান্নাতের সুসংবাদ দেবেন। আমাদেরও সেই দাওয়াত  মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে।
গত ১৪ এপ্রিল রোববার সকাল ৮টায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী রাজশাহী মহানগরীর উদ্যোগে স্থানীয় মিলনায়তনে ঈদ পুনর্মিলনী ....বিস্তারিত

ড. মান্নানের ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময়

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি বিশিষ্ট লেখক গবেষক শিক্ষাবিদ ড. আব্দুল মান্নান পবিত্র ঈদুল ফিতরের দ্বিতীয় দিন গত ১২ এপ্রিল শুক্রবার যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার নিজ গ্রাম ভদ্রডাঙ্গায় সর্বস্তরের মানুষের সাথে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। তিনি পর্যায়ক্রমে ডাক্তার, ব্যাংকার্স, ইঞ্জিনিয়ার, শিক্ষক, ছাত্র এবং সাধারণ মানুষের সাথে সৌজন্য সাক্ষাতে মিলিত হন। বিকালে মোল্লাপাড়া তিন গম্বুজ মসজিদে ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান মিলনমেলায় পরিণত হয়।
উপজেলা জামায়াত নেতা মাওলানা হাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাবেক ছাত্রনেতা আব্দুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন পৌর আমীর মাওলানা সিদ্দিকুর রহমান, রায়পুর ইউনিয়ন আমীর প্রভাষক গোলাম ইয়াহইয়া, জহুরপুর ইউনিয়ন জামায়াত নেতা মনজুর কাদের, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রনেতা হাবিবুর রহমান, শহরের সাবেক সাহিত্য সম্পাদক ইসমাইল হোসেন, উপজেলা সাবেক সভাপতি আব্দুস সবুর, শ্রমিক নেতা আবু বকর সিদ্দিক, ছাত্রনেতা পূর্ব জেলা প্রকাশনা সম্পাদক মুহিব্বুল্লাহ হুসাইন, বাঘারপাড়া পৌর সভাপতি বুরহান উদ্দিন উপজেলা দক্ষিণ সভাপতি রানা ইসলাম, খাজুরা সাথী শাখার সভাপতি এবি মুনতাসির প্রমুখ ।
ড. মান্নান ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, এদেশের জমিন ইসলামী আন্দোলনের নেতাকর্মীদের রক্ত ও চোখের পানিতে সিক্ত হয়েছে, সুতরাং কারো চোখরাঙানি আমরা ভয় করি না। ভোট চোর লুটেরা চোরের মতোই থাকবে। আমরা প্রতিটি ঘরে ঘরে ইসলামের সুমহান দাওয়াত পৌঁছে দিয়ে আমাদের ....বিস্তারিত

তিস্তার অববাহিকায় ধ্বংসের মুখে জীববৈচিত্র্য

মোহাম্মদ নুরুজ্জামান, রংপুর : প্রচণ্ড খরতাপে পানি শুকিয়ে ধুধু বালুচরে পরিণত হয়েছে উত্তরের রংপুর অঞ্চলের খরস্রোতা তিস্তা নদী। এর অববাহিকার বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে জেগে উঠেছে বালুচর। নদীতে মাছের আকালে পেশা পরিবর্তন করছে জেলেরা। হুমকির মুখে পড়েছে এ অঞ্চলের জীববৈচিত্র্য। বর্ষা এলেই বন্যা আর ভাঙনের মুখে পড়েন তিস্তা পাড়ের দু’কূলের মানুষ। নদীভাঙন আর প্রবল স্রোতে ভেসে যায় তিস্তাপাড়ের মানুষের স্বপ্ন ফসলি জমি, বসতভিটাসহ স্থাপনা। আর এখন শুকনো মৌসুমে তিস্তা নদী শুকিয়ে মরুভূমিতে পরিণত হয়েছে। হাঁটুপানি ভেঙে হেঁটেই নদী পার হচ্ছে মানুষ আর গবাদি পশু। নদীর পাড়ে নেই নৌকা, মাঝি-মাল্লাদের হাঁকডাক, জেলেদের মাছ ধরার ব্যস্ততা। নিরাশার বালুচরে থমকে গেছে রংপুর অঞ্চলের তিস্তাপাড়ের মানুষের জীবন-জীবিকা আর চালচিত্র। নদী বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে গভীর করে নদীর তলদেশ খননের মাধ্যমে দুইপাড়ে বাঁধ দিয়ে নদীর গভীরতা বৃদ্ধি করলে তিস্তা ফিরে পাবে চিরচেনা রূপ।
জানা গেছে, ভারতের সিকিম ও পশ্চিমবঙ্গের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার পর বাংলদেশের   নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলার সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে তিস্তা নদী। এরপর নীলফামারী, লালমনিরহাট, রংপুর ও গাইবান্ধা জেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারী বন্দর হয়ে ব্রহ্মপুত্র নদের সঙ্গে মিশেছে তিস্তা। তিস্তা নদীর দৈর্ঘ্য প্রায় ৩১৫ কিলোমিটার হলেও বাংলাদেশ অংশে রয়েছে প্রায় ১২৫ কিলোমিটার।
উজানে গজলডোবায় বাঁধ নির্মাণ ....বিস্তারিত

সুন্দরবন থেকে সরকারের কোটি কোটি টাকার রাজস্ব আদায়ের সম্ভাবনা

আবু সাইদ বিশ্বাস, সাতক্ষীরা : ভেজাল মধু বন্ধ করতে পারলে সরকার কোটি কোটি টাকার রাজস্ব আদায় করতে পারবে। দেশে যে মধু পাওয়া যায় তার মধ্যে আগ্রহের শীর্ষে রয়েছে সুন্দরবনের মধু। সুন্দরবনের মধুর খ্যাতি দেশজুড়ে। আর এ মধুকে ঘিরে জীবিকা নির্বাহ করেন সাতক্ষীরা-খুলনা অঞ্চলের মৌয়ালরা। সুন্দরবনের খাঁটি মধুর চাহিদা দেশ-বিদেশে ব্যাপক। সেই সুযোগটাকে কাজে লাগিয়ে অতিরিক্ত মুনাফার আশায় সাতক্ষীরার শ্যামনগর, খুলনা, মোংলাসহ সুন্দরবনের আশপাশের এলাকায় খাঁটি মধুর নামে চালাচ্ছেন ভেজাল মধুর ব্যবসা। ১ এপ্রিল সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে মধু আহরণের উদ্বোধন করেন খুলনা বিভাগীয় বনকর্মতা ড. আবু নাসের মোহসীন। ৩১ মে পর্যন্ত এ কার্যক্রম চলবে। ১ হাজার ৫০০ কুইন্টাল মধু ও সাড়ে ৪ কুইন্টাল মোম সংগ্রহের টার্গেট নির্ধারণ করা হয়েছে,  যার বাজারমূল্য প্রায় ১০০ কোটি টাকা। এ থেকে সরকারের রাজস্ব আসবে ৩০ লাখ টাকা। পশ্চিম সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের কলাগাছিয়ার একটি গরান গাছের মৌচাক থেকে মধু সংগ্রহের মধ্যে দিয়ে চলতি মৌসুমের মধু আহরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়েছে।
পশ্চিম সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক এমকেএম ইকবাল হোসাইন চৌধুরী বলেন, নৌকায় সর্বোচ্চ ১০ জন মৌয়ালি অবস্থান করতে পারবেন। একজন মৌয়ালি ১৫ দিনের জন্য সর্বোচ্চ ৫০ কেজি মধু ও ১৫ কেজি মোম আহরণ করতে পারবেন। ১৫ দিনের বেশি কোনো মৌয়াল সুন্দরবনে অবস্থান করতে পারবেন না। এ বছর ১হাজার ৫০০ কুইন্টাল মধু এবং ৪৫০ কুইন্টাল মোম পাওয়ার আশা করছি। তিনি আরও বলেন, ২০২৩ সালের মধু ....বিস্তারিত

সাবেক চেয়ারম্যান মাহবুবার রহমানের কবর জিয়ারত

দুষ্কৃতকারীদের আঘাতে নিহত রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার পায়রাবন্দ ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মাহবুবার রহমানের কবর জিয়ারত ও তার পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান। গত মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সাবেক চেয়ারম্যানের কবর জিয়ারত ও তার পরিবারের সাথে এ সাক্ষাৎ করেন তিনি। আমীরে জামায়াত মাহবুবার রহমানের পরিবারের সাথে দেখা করেন, তাদের খোঁজখবর নেন ও সান্ত্বনা প্রদান করেন। তিনি মাহবুবার রহমানের কবর জিয়ারত করেন এবং মহান আল্লাহর কাছে তার রূহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করেন।
এ সময় আমীরে জামায়াতের সাথে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও রংপুর-দিনাজপুর অঞ্চল পরিচালক মাওলানা আবদুল হালিম, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও রংপুর জেলা জামায়াতের আমীর অধ্যাপক গোলাম রাব্বানী, নীলফামারী জেলা আমীর আব্দুর রশীদ, মিঠাপুকুর উপজেলা আমীর ও ইউপি চেয়ারম্যান মাস্টার জয়নাল আবেদীন, সেক্রেটারি আসাদুজ্জামান শিমুলসহ স্থানীয় জামায়াত ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতারা। উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৫ নভেম্বর মাহবুবার রহমান দুষ্কৃতকারীদের নির্মম আঘাতে নিহত হন। প্রেস ....বিস্তারিত

অন্যান্য মিডিয়া bdnews24 RTNN Sheersha News barta24 Prothom Alo Daily Nayadiganta Jugantor Samakal Amardesh Kaler Kantho Daily Ittefaq Daily Inqilab Daily Sangram Daily Janakantha Amader Shomoy Bangladesh Pratidin Bhorerkagoj Daily Dinkal Manob Zamin Destiny Sangbad Deshbangla Daily Star New Age New Nation Bangladesh Today Financial Express Independent News Today Shaptahik 2000 Computer Jagat Computer Barta Budhbar Bangladesherkhela Holiday Bangladesh Monitor BBC Bangla Pars Today
homeabout usdeveloped by

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ মো. তাসনীম আলম।

এটিএম সিরাজুল হক কর্তৃক হক প্রিন্টার্স ১০/৮ আরামবাগ, ঢাকা-১০০০ হতে মুদ্রিত ও প্রকাশিত। যোগাযোগের ঠিকানাঃ ৪২৩ এলিফেন্ট রোড, বড় মগবাজার, ঢাকা - ১২১৭।

ফোন: ৮৮ ০২ ৪৮৩১৯০৬৫, ই-মেইল: sonarbanglaweekly@gmail.com, weeklysonarbangla@yahoo.com, সার্কুলেশন: ০১৫৫২৩৯৮১৯০, বিজ্ঞাপন: ৪৮৩১৫৫৭১, ০১৯১৬৮৬৯১৬৮, ০১৭৩৪০৩৬৮৪৬।